ব্লুমফন্টেইনে বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে টস হেরে ব্যাট করছে দক্ষিণ আফ্রিকা। স্কোর: দক্ষিণ আফ্রিকা ৪২৮/৩।
চারশ পার: প্রথম দিনেই চারশ ছাড়াল দক্ষিণ আফ্রিকার রান। ৮৪তম ওভারে দ্বিতীয় বলে চারশ পেরিয়েছে স্বাগতিকরা। উইকেট হারিয়েছে মাত্র তিনটি।
ডু প্লেসির ফিফটি: তাইজুল ইসলামের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ফিফটি পূরণ করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি। দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ তখন ৩ উইকেটে ৩৯৯।
আমলা-প্লেসি জুটির সেঞ্চুরি: মাহমুদউল্লাহর পরপর দুই বলে দুই চার হাঁকালেন হাশিম আমলা। দ্বিতীয় চারে পূরণ হলো ফাফ ডু প্লেসির সঙ্গে তার চতুর্থ উইকেট জুটির সেঞ্চুরি। দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ তখন ৩ উইকেটে ৩৮৮।
আমলার ফিফটি: মাহমুদউল্লাহর অফ স্টাম্পের বাইরের বলটা হাশিম আমলা ঠেলে দিলেন সুইপার কাভারে। ১ রান নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান ছুঁলেন পঞ্চাশ। এটি আমলার ৩৬তম টেস্ট ফিফটি। চলতি সিরিজে পঞ্চাশ ছুঁলেন দ্বিতীয়বার। পচেফস্ট্রুমে প্রথম টেস্টের পঞ্চাশকে রূপ দিয়েছিলেন সেঞ্চুরিতে। ব্লমফন্টেইনেও সেটার পুনরাবৃত্তি করেন কি না, কে জানে!
বাড়ছে রান: চা বিরতির পর দ্রুতই মার্করাম ও বাভুমাকে ফিরিয়েছিলেন শুভাশিস ও রুবেল। তবে সেই ধাক্কা সামলে নিয়েছেন হাশিম আমলা ও ফাফ ডু প্লেসি। দুজনের চতুর্থ উইকেট জুটি ছুঁয়েছে পঞ্চাশ। দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়িয়েছে সাড়ে তিনশ। ৭৫ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৩৫৬ রান। আমলা ৪২ ও ডু প্লেসি ৩৭ রানে অপরাজিত।
দক্ষিণ আফ্রিকার তিনশ পার: মুস্তাফিজুর রহমানের করা বুক-উঁচু বল হুক করতে চেয়েছিলেন ফাফ ডু প্লেসি। টপ-এজ হয়ে বল উঠে যায় ওপরে। লং লেগ থেকে দৌড়ে এসে ডাইভ দিয়েছিলেন শুভাশিস রায়। কিন্তু হাতে জমাতে পারেননি বল। বাংলাদেশ পেতে পারত আরেকটি উইকেট। উল্টো হয়ে গেছে চার। ওই চারেই তিনশ ছাড়িয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর।
শুভাশিসের দ্বিতীয় শিকার: আবারও দক্ষিণ আফ্রিকা শিবিরে আঘাত হেনেছেন শুভাশিস রায়। অফ স্টাম্পে তার লেংথ বলে উইকেটরক্ষক লিটন দাসকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন টেম্বা বাভুমা (৭)। ইনিংসে শুভাশিসের এটি দ্বিতীয় উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ তখন ৩ উইকেটে ২৮৮।
রুবেলের বলে বোল্ড মার্করাম: চা বিরতির পর বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দিয়েছেন রুবেল হোসেন। তার ১৪০.২ কিলোমিটার গতির ডেলিভারিতে উপড়ে গেছে মার্করামের মিডল স্টাম্প। ১৮৬ বলে ২২ চারে ক্যারিয়ার সেরা ১৪৩ রান করেন আগের টেস্টে অভিষেক হওয়া মার্করাম। দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ তখন ২ উইকেটে ২৭৬।
দ্বিতীয় সেশনে এক উইকেট পেল বাংলাদেশ: প্রথম সেশনের থেকে দ্বিতীয় সেশনে আরও দ্রুত রান তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে দ্রুত রান তুললেও এই সেশনে ১ উইকেট হারিয়েছে তারা। ২৭ ওভারে ১৩০ রান করেছে চা-বিরতির আগে। ১১৩ রানে শুভাশীষের বলে সাজঘরে ফিরেছেন ডিন এলগার। হাশিম আমলা ১ ও আইডেন মার্করাম ১৩৫ রানে অপরাজিত আছেন। উদ্বোধনী জুটিতে মার্করাম ও এলগার করেছিলেন ২৪৩ রান।
বাংলাদেশের রিভিউ নষ্ট: শুভাশিসের করা ৫৬তম ওভারের তৃতীয় বলে ফরোয়ার্ড ডিফেন্স করলেন হাশিম আমলা। বাংলাদশ শিবির এলবিডব্লিউ আবেদন করল। অস্ট্রেলিয়ার আম্পায়ার ব্রুছ অক্সেফোর্ড বাংলাদেশের আবেদনে সাড়া দিলেন না। শুভাশিসের ইচ্ছায় মুশফিক রিভিউ নিলেন। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় বল স্ট্যাম্পের লাইনে ছিল না। ফলে রিভিউ নষ্ট হয় বাংলাদেশের।
ফিরে জুটি ভাঙলেন শুভাশিস: মুমিনুল হকের পরিবর্তে ৫৪ ওভারে শুভাশিসের হাতে বল তুলে দেন মুশফিক। বোলিংয়ে ফিরে বাংলাদেশকে উইকেট উপহার দিলেন ডানহাতি এ পেসার। শুভাশিসের দেয়া শর্ট বল পুল করতে গিয়ে ফাইন লেগে ক্যাচ দেন ১১৩ রান করা এলগার। দৌড়ে দারুণ দক্ষতায় বল তালুবন্দি করেন মুস্তাফিজুর রহমান। ১৫২ বলে ১৭ বাউন্ডারিতে ইনিংসটি সাজান এলগার। তার বিদায়ে স্বস্তি ফিরে এসেছে বাংলাদেশ শিবিরে। এলগারের আউট হওয়া সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ১ উইকেটে ২৪৩।
জীবন পেলেন এলগার: মুস্তাফিজের বাউন্সারে পুল করতে গেলেন সেঞ্চুরিয়ান ডিন এলগার। ব্যাটে-বলে সংযোগ ঠিকমত হলো না। গ্লাভসের ছোঁয়া পেয়ে বল গেল উইকেট রক্ষক লিটন কুমার দাসের মাথার ওপর। কিন্তু শূণ্যে লাফিয়েও বল তালুবন্দি করতে ব্যর্থ লিটন। লিটনের ডানহাতে বল রিফ্লেক্ট হওয়ার পর স্লিপে থাকা সৌম্যও ঝাঁপ দিয়েছিলেন ক্যাচ নিতে। চেষ্টা করেছিলেন লিটনও। কিন্তু বল তালুবন্দি করতে পারেননি কেউই। ১১০ রানে জীবন পান এলগার। ৫০ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার রান বিনা উইকেটে ২২৫।
মার্করামের সেঞ্চুরি: তাকে বলা হয় দক্ষিণ আফ্রিকার ভবিষ্যত। বাংলাদেশের বিপক্ষে অভিষেক টেস্ট খেলতে নেমেই কথা রেখেছিলেন তিনি। বলছি আইডেন মার্করামের কথা। ডানহাতি এ ওপেনার বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ৯৭ রান। ৩ রানের জন্য পাননি প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির স্বাদ। এবার ভুল করেননি। বিচলিত হননি নার্ভাস নাইন্টিজে। রুবেলের করা ৪৪তম ওভারে পরপর দুটি চার মেরে ৯৩ থেকে ১০১ রানে পৌঁছান মার্করাম। ১৪১ বলে ১৬ বাউন্ডারিতে মাইলফলক ছুঁয়েছেন ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান। ৪৪ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার রান বিনা উইকেটে ২১১।
দ্ইুশ রানের জুটি মার্করাম-এলগারের: ২৫০ বলে ২০০ রান তুলেছেন স্বাগতিক দলের দুই ওপেনার ডিন এলগার ও আইডেন মার্করাম। প্রথমবারের মতো জুটিতে দুইশ রান করলেন তারা।
এলগারের দশম সেঞ্চুরি: তাইজুলের করা ৪১তম ওভারের তৃতীয় বল স্কয়ার লেগ বাইরে পাঠালেন ডিন এলগার। ৯৪ থেকে এলগার পৌঁছে যান ৯৮ রানে। পরের বলটিতে কভার ড্রাইভ করে আবারও মাঠের বাইরে পাঠান বাঁহাতি ওপেনার। এ বাউন্ডারিতে ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরি সেঞ্চুরি নেন এলগার। বাংলাদেশের বিপক্ষে টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তার। ১১৬ বলে ১৭ বাউন্ডারিতে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন এলগার। ৪১ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার রান বিনা উইকেটে ১৯৮।
চোট পেয়ে মাঠের বাইরে ইমরুল: মুস্তাফিজের বলে স্লিপে ফিল্ডিং করতে গিয়ে হাঁটুতে চোট পান ইমরুল কায়েস। এরপর সতীর্থদের সহায়তায় মাঠের বাইরে যান ইমরুল। ইমরুলের পরিবর্তে ফিল্ডিং করছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
প্রথম সেশন দক্ষিণ আফ্রিকার: উইকেটে ঘাস দেখে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। পরিকল্পনা ছিল প্রথম ঘন্টায় উইকেট থেকে সুবিধা আদায় করে নিবেন। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনারের দারুণ ব্যাটিংয়ে ব্লুমফন্টেইন টেস্টে শুরুতেই পিছিয়ে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বোলাররা কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারেননি। প্রথম সেশনে বিনা উইকেটে ২৯ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা তুলেছে ১২৬ রান। ৪.৩৪ গড়ে রান করেছেন ডিন এলগার ও আইডেন মার্করাম। ক্যারিয়ারের নবম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে এলগার ৭২ রানে অপরাজিত আছেন। মার্করাম তুলে নিয়েছেন দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরি। তার রান ৫৪।
মার্করামের দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরি: তাইজু্লরে করা ২৮তম ওভারের চতুর্থ বলে ডাউন দ্য উইকেটে এলেন আইডেন মার্করাম। দারুণ ড্রাইভে মিড অন ও মিড উইকেটের মাঝ দিয়ে বল পাঠালেন বাউন্ডারিতে। ৪৭ থেকে মার্করাম পৌঁছে যান ৫১ রানে। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি তার দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরি। পচেফস্ট্রুমে প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ৯৭ রান।
শতরানের জুটি এলগার-মার্করামের: রুবেল হোসেনের করা ২৫তম ওভারের প্রথম বলে বাউন্ডারি তুলে জুটির সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ডিন এলগার। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসেও শতরানের জুটি গড়েছিলেন এলগার-মার্করাম। জুটিতে এলগার ৬২ রান ও মার্করাম যোগ করেন ৪০ রান।
এলগারের ৫০: শুভাশীষের করা ২১তম ওভারের প্রথম বল বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে ৪৮ থেকে ৫২ রানে পৌঁছান ডিন এলগার। এটি তার ক্যারিয়ারের নবম হাফ-সেঞ্চুরি। মাইলফলকে পৌঁছতে ৫৯ বল খেলেন এলগার। ইনিংসটি সাজাতে ১০টি বাউন্ডারি মেরেছেন বাঁহাতি ওপেনার।
দ্রুত রান তুলছে দক্ষিণ আফ্রিকা: প্রায় প্রতি ওভারেই বাউন্ডারি পাচ্ছেন ব্যাটসম্যানরা। প্রোটিয়া দলের বর্তমান রান রেট ৩.৯২। বোলাররা কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারছেন না। ৭৭ বলে দক্ষিণ আফ্রিকা তুলে নিয়েছে ৫০ রান।
এলগারের এক হাজার: চলতি বছর ব্যাট হাতে দারুণ সময় কাটাচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার ডিন এলগার। ৯৮৪ রান নিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামেন। শুভাশীষের করা চতুর্থ ওভারের শেষ বলে চার মেরে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে চলতি বছরে এক হাজার রানের ল্যান্ডমার্কে পৌঁছান এলগার। ৮৫১ রান নিয়ে দুইয়ে ভারতের চেতেশ্বর পুজারা। ১৬ রানে ব্যাটিং করছেন এলগার। দক্ষিণ আফ্রিকার ওই সময়ে রান বিনা উইকেটে ২৩।
চার পরিবর্তনে বাংলাদেশ: চারটি পরিবর্তন আনা হয়েছে বাংলাদেশ দলে। ইনজুরির কারণে নেই তামিম ইকবাল। দলের বাইরে রাখা হয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ ও শফিউল ইসলামকে। তাদের জায়গায় এসেছেন সৌম্য সরকার, তাইজুল ইসলাম, রুবেল হোসেন ও শুভাশীষ রায়।
বাংলাদেশ দল: ইমরুল কায়েস, সৌম্য সরকার, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান, লিটন কুমার দাস, তাইজুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন ও শুভাশীষ রায়।
মরকেলের জায়গায় পারনেল: দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার মরনে মরকেল প্রথম টেস্টে ইনজুরিতে পড়েছিলেন। তার জায়গায় দলে এসেছেন ওয়েন পারনেল।
দক্ষিণ আফ্রিকা দল: ডিন এলগার, এইডেন মার্করাম, হাশিম আমলা, টেম্বা বাভুমা, ফাফ ডু প্লেসি, কুইন্টন ডি কক, আন্দিলে ফিকোযাও, ওয়েইন পারনেল, কেশব মহারাজ, কাগিসো রাবাদা, ডুয়ান অলিভিয়ের।
টস: পচেফস্ট্রুমের মতো ব্লুমফন্টেইনেও টস জেতেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মুশফিক।
চার বছর পর সাকিব-তামিমকে ছাড়া বাংলাদেশ: ২০১৩ সালের ৮ মার্চ, গলে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। ওই ম্যাচে খেলেননি বাংলাদেশের দুই ধ্রুবতারা সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বীতা গড়ে ম্যাচটি ড্র করে বাংলাদেশ। ওই ম্যাচের পর মোট ২৭টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। প্রতিটি ম্যাচেই এ দুই ক্রিকেটারের যেকোনো একজনকে পেয়েছে বাংলাদেশ। চার বছর পর সাকিব-তামিমকে ছাড়া আবারও মাঠে নামছে টিম বাংলাদেশ।